(ঝিনুক, শামুক, চিংড়ি প্রভৃতি প্রাণীর রক্তের হিমোগ্লোবিন এর পরিবর্তে হিমোসায়ানিন থাকে। তাই এদের রক্ত নীলাভ দেখায়। পতঙ্গদের রক্তে কোন রঞ্জক থাকেনা তাই এদের রক্ত বর্ণহীন।)
অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে- হিস্টামিন ( এটি ইওসিনোফিল শ্বেত কণিকা থেকে নিঃসৃত হয়)
রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ স্বাভাবিক থেকে বৃদ্ধি পাওয়াকে বলে- লিউকোমিয়া( ব্লাড ক্যান্সার)
রক্ত জমাট বাধায় সাহায্য করে- প্রথমবিন।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ মাপক যন্ত্র হল- হিমোগ্লোবিনোমিটার
রক্তের শ্রেণী- চারটি(A, B, AB ও O)
সর্বজনীন দাতা- O শ্রেণীর রক্ত ( আলফা ও বিটা উভয় অ্যাগ্লুটিনিন থাকে)
সর্বজনীন গ্রহীতা- AB শ্রেণীর রক্ত (অ্যাগ্লুটিনিন থাকে না)।
O শ্রেণীর রক্তে- অ্যাগ্লুটিনোজেন থাকে না।
A ও B শ্রেণীর রক্তেরক্তে- A ও B উভয়ই অ্যাগ্লুটিনোজেন থাকে।
রক্ত তঞ্চন এর সময় লাগে- 3-7 মিনিট।
ব্লাড ব্যাংকে রক্ত তঞ্চন রোধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়- সোডিয়াম সাইট্রেট।
ফুসফুসীয় ধমনী - দূষিত রক্ত বা কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত পরিবহন করে।
ফুসফুসীয় শিরা- বিশুদ্ধ রক্ত বা অক্সিজেনযুক্ত রক্ত পরিবহন করে।
শরীরের দূষিত রক্ত মহা শিরার মাধ্যমে ডান অলিন্দের প্রবেশ করে তারপর ত্রিপত্র কপাটিকার মধ্য দিয়ে ডান নিলয় প্রবেশ করে। ডান নিলয় থেকে দূষিত রক্ত সেমিলুনার কপাটিকার মধ্য দিয়ে ফুসফুসীয় ধমনীর মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছায়। ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত ফুসফুসীয় শিরা মাধ্যমে বাম অলিন্দে প্রবেশ করে। বাম অলিন্দ থেকে সেই বিশুদ্ধ রক্ত দ্বিপত্র কপাটিকা মাধ্যমে বাম নিলয় প্রবেশ করে। বাম নিলয় থেকে সেই বিশুদ্ধ রক্ত মহাধমনীর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।
হৃদপিন্ডের আবরণী কে বলে - পেরিকার্ডিয়াম।
নাড়ি স্পন্দন মাপা হয় - হাতের কব্জির রেডিয়াল ধমনীতে।
রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে - জন্ডিস রোগ হয়।
রক্তে বিলিরুবিনের স্বাভাবিক পরিমাণ হল - 0.2-1 gm/dl.