ভারতের জাতীয় উদ্যান
বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান
অবস্থান: কর্ণাটক
দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে অবস্থিত বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান 1974 সালে একটি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ উদ্যান হিসাবে স্থাপিত হয়। বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান এর আয়তন 800 বর্গ কিলোমিটারের বেশি।
বাঘের সংখ্যা হিসাবে বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান এর সংলগ্ন আরো কয়েকটি জাতীয় উদ্যান হলো নাগরহোল জাতীয় উদ্যান (343 বর্গ কিমি), মুদুমালাই জাতীয় উদ্যান (320 বর্গ কিমি) এবং ওয়ায়নাড বন্যজীবন অভয়ারণ্য ( 344 বর্গ কিমি)।
কর্ণাটক রাজ্যের জাতীয় উদ্যান এবং অভয়ারণ্যের গুলি নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এর অংশ। নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এর আয়তন প্রায় 2185 বর্গ কিলোমিটার।
প্রাণীকুল: ভারতীয় হাতি, গৌড়, বাঘ, আলগা ভাল্লুক, মুগারস, ইন্ডিয়ান রক পাইথনস, চার-শৃঙ্গযুক্ত মৃগ, বেঙ্গল টাইগার, ভারতীয় চিতাবাঘ, চিতল, সাম্বার, আলস্য ভালুক, ধূসর ল্যাঙ্গুর,বন্য শুকর, খেঁক হরিণ।
প্রাণীকুল: ব্যাঘ্র, নীলগাই, ভাল্লুক ইত্যাদি।
এটি বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে ভরতপুরের রাজপরিবারের মহারাজা সুরাজমাল এর শিকার সংরক্ষণ শালা হিসাবে নির্মিত হয়েছিল।
ভারত স্বাধীন হওয়ার পর 1956 সালে এই শিকার সংরক্ষণ শালা টি ঘানা পক্ষী সংরক্ষণ শালা এবং 1981 সালে এটি জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা লাভ করে।
বন্যপ্রাণী : এশিয়াটিক সিংহ, ভারতীয় চিতাবাঘ, বন্য বিড়াল, স্ট্রাইপ হায়েনা, সোনালী শিয়াল, বেঙ্গল শিয়াল,ভারতীয় ধূসর বেজি এবং লাল বর্ণ যুক্ত বেজি। এছাড়াও এশিয়াটিক বন্য বিড়াল এবং মরিচা-দাগযুক্ত বিড়াল দেখা যায় তবে খুব কমই দেখা যায়।
বন্য প্রাণীর মধ্যে সম্বর, নীলগাই দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন বন্যপ্রাণী এবং জলজ প্রাণীর বসবাস রয়েছে।
কানহা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র যা দেশের বৃহত্তম স্থানগুলির মধ্যে একটি। কানহা জাতীয় উদ্যান মধ্য ভারতের বৃহত্তম ন্যাশনাল পার্ক।
ভারতের প্রথম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র কানহা টাইগার রিজার্ভ। কানহা ন্যাশনাল পার্কে বেঙ্গল টাইগার, ভারতীয় চিতাবাঘ, ভালুক, দেখতে পাওয়া যায়।
সারা পৃথিবীর একশৃঙ্গ গন্ডার এর দুই-তৃতীয়াংশ এই কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক অবস্থিত। এদের সংখ্যা প্রায় 2500।
1985 সালে কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান টি UNESCO (The United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization) কর্তৃক ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এর মর্যাদা লাভ করে।
বন্যপ্রাণী: একশৃঙ্গ গন্ডার, হাতি, বুনো মহিষ, বারশিঙ্গা, বাঘ ( 2006 সালে এটি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে ঘোষিত হয়)। এছাড়াও কাল গলা যুক্ত সারস পাখি, ফেরিগিনাস হাঁস এবং বিভিন্ন পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে।
প্রাণীকুল: চিতাবাঘ, চাওহিংহাস, সাম্বার, চিতল, গৌড়, হায়েনা, শিয়াল, বন্য শুকর, বাঘ, ভাল্লুক। এছাড়াও জঙ্গল ফাউল, কোয়েলস, পার্ট্রিজেজস,ময়ূর, ক্ষুদ্র হাঁস এবং ঘুঘু পাখির মত মতো বেশ কয়েকটি পাখিও দেখতে পাওয়া যায়।
সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান বেঙ্গল টাইগার, এশিয়ান হাতি, গৌড় এবং চার শৃঙ্গযুক্ত হরিণের জন্য বিখ্যাত।
লাল সিল্কের তুলা গাছের (red silk cotton trees) প্রাচুর্যের জন্য এই জাতীয় উদ্যান টির নাম হয়েছে সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান।
এই সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের একটি বড় অংশ ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ অবস্থান করছে। ভারতের বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে এটি পরিচিত। 1973 সালে এই সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান টি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ মূল কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
1977 সালে এটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
1984 সালে এটি জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতি লাভ করে।
1987 সালে UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষিত করে।
2019 সালে সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান রামসার সাইট হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।
ভারত ও বাংলাদেশ সমগ্র অংশ নিয়ে সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় 10 হাজার বর্গ কিলোমিটার, যার 60% বাংলাদেশ এবং বাকি 40% ভারতে রয়েছে।
বাঘের সংখ্যা হিসাবে বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান এর সংলগ্ন আরো কয়েকটি জাতীয় উদ্যান হলো নাগরহোল জাতীয় উদ্যান (343 বর্গ কিমি), মুদুমালাই জাতীয় উদ্যান (320 বর্গ কিমি) এবং ওয়ায়নাড বন্যজীবন অভয়ারণ্য ( 344 বর্গ কিমি)।
কর্ণাটক রাজ্যের জাতীয় উদ্যান এবং অভয়ারণ্যের গুলি নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এর অংশ। নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এর আয়তন প্রায় 2185 বর্গ কিলোমিটার।
প্রাণীকুল: ভারতীয় হাতি, গৌড়, বাঘ, আলগা ভাল্লুক, মুগারস, ইন্ডিয়ান রক পাইথনস, চার-শৃঙ্গযুক্ত মৃগ, বেঙ্গল টাইগার, ভারতীয় চিতাবাঘ, চিতল, সাম্বার, আলস্য ভালুক, ধূসর ল্যাঙ্গুর,বন্য শুকর, খেঁক হরিণ।
জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক
অবস্থান: উত্তরাঞ্চল
জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক হলো ভারতের সর্বপ্রাচীন জাতীয় উদ্যান। এই জাতীয় উদ্যান টি ব্রিটিশ ভারতে 1936 সালে নির্মিত হয়েছিল উত্তর ভারতের উত্তরাঞ্চল রাজ্যের নৈনিতাল জেলায়। জিম করবেট জাতীয় উদ্যান টির আয়তন প্রায় 520 বর্গ কিলোমিটার।প্রাণীকুল: ব্যাঘ্র, নীলগাই, ভাল্লুক ইত্যাদি।
ঘানা পাখিরালয়
অবস্থান: ভরতপুর, গুজরাট
ঘানা জাতীয় উদ্যান উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজস্থান রাজ্যের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত। এটি ভরতপুর শহরের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত।এটি বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে ভরতপুরের রাজপরিবারের মহারাজা সুরাজমাল এর শিকার সংরক্ষণ শালা হিসাবে নির্মিত হয়েছিল।
ভারত স্বাধীন হওয়ার পর 1956 সালে এই শিকার সংরক্ষণ শালা টি ঘানা পক্ষী সংরক্ষণ শালা এবং 1981 সালে এটি জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা লাভ করে।
গির জাতীয় উদ্যান
অবস্থান: জুনাগর, গুজরাট
গির জাতীয় উদ্যান গুজরাটের জুনাগর থেকে প্রায় 65 কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত। গির জাতীয় উদ্যান টি প্রায় 1412 বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত, যার 158 বর্গ কিলোমিটার জাতীয় উদ্যান এবং 1,153 বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসাবে সংরক্ষিত।বন্যপ্রাণী : এশিয়াটিক সিংহ, ভারতীয় চিতাবাঘ, বন্য বিড়াল, স্ট্রাইপ হায়েনা, সোনালী শিয়াল, বেঙ্গল শিয়াল,ভারতীয় ধূসর বেজি এবং লাল বর্ণ যুক্ত বেজি। এছাড়াও এশিয়াটিক বন্য বিড়াল এবং মরিচা-দাগযুক্ত বিড়াল দেখা যায় তবে খুব কমই দেখা যায়।
হাজারীবাগ জাতীয় উদ্যান
অবস্থান: ঝাড়খন্ড
প্রায় 184 বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হাজারীবাগ জাতীয় উদ্যান ঝাড়খণ্ডের ছোটনাগপুর মালভূমি তে অবস্থিত।বন্য প্রাণীর মধ্যে সম্বর, নীলগাই দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন বন্যপ্রাণী এবং জলজ প্রাণীর বসবাস রয়েছে।
কানহা জাতীয় উদ্যান
অবস্থান: মধ্যপ্রদেশ
মধ্যপ্রদেশের মন্ডলা ও বালাগাট জেলা জুড়ে বিস্তৃত কানহা জাতীয় উদ্যান এর আয়তন প্রায় 1,067 বর্গ কিলোমিটার।কানহা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র যা দেশের বৃহত্তম স্থানগুলির মধ্যে একটি। কানহা জাতীয় উদ্যান মধ্য ভারতের বৃহত্তম ন্যাশনাল পার্ক।
ভারতের প্রথম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র কানহা টাইগার রিজার্ভ। কানহা ন্যাশনাল পার্কে বেঙ্গল টাইগার, ভারতীয় চিতাবাঘ, ভালুক, দেখতে পাওয়া যায়।
কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক
অবস্থান: জোরহাট, আসাম
একশৃঙ্গ গন্ডার এর জন্য বিখ্যাত কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান টি আসামের গোলাঘাট ও নগাও জেলা জুড়ে বিস্তৃত। প্রায় 430 বর্গ কিলোমিটার এলাকার এই জাতীয় উদ্যান টি 1908 সালে ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন এর স্ত্রী মেরি কার্জনের নির্দেশে নির্মিত হয়েছিল।সারা পৃথিবীর একশৃঙ্গ গন্ডার এর দুই-তৃতীয়াংশ এই কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক অবস্থিত। এদের সংখ্যা প্রায় 2500।
1985 সালে কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান টি UNESCO (The United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization) কর্তৃক ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এর মর্যাদা লাভ করে।
বন্যপ্রাণী: একশৃঙ্গ গন্ডার, হাতি, বুনো মহিষ, বারশিঙ্গা, বাঘ ( 2006 সালে এটি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে ঘোষিত হয়)। এছাড়াও কাল গলা যুক্ত সারস পাখি, ফেরিগিনাস হাঁস এবং বিভিন্ন পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে।
কিন্নারসানী জাতীয় উদ্যান
অবস্থান: তেলেঙ্গানা
কিন্নারসানী জাতীয় উদ্যান তেলঙ্গানার ভদ্রাদ্রী কোথাগুদেম জেলায় অবস্থিত। 635.4 বর্গ কিলোমিটার এলাকার এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য টি কিন্নারসানী হ্রদে অবস্থিত।প্রাণীকুল: চিতাবাঘ, চাওহিংহাস, সাম্বার, চিতল, গৌড়, হায়েনা, শিয়াল, বন্য শুকর, বাঘ, ভাল্লুক। এছাড়াও জঙ্গল ফাউল, কোয়েলস, পার্ট্রিজেজস,ময়ূর, ক্ষুদ্র হাঁস এবং ঘুঘু পাখির মত মতো বেশ কয়েকটি পাখিও দেখতে পাওয়া যায়।
সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান
অবস্থান: ময়ূরভঞ্জ, উড়িষ্যা
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায় অবস্থিত সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান এর আয়তন প্রায় 2750 বর্গ কিলোমিটার।ভারতের সপ্তম বৃহত্তম সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান টি 2009 সালে World Network of Biosphere Reserves (WNBR) (by UNESCO) ঘোষণা করা হয়।সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান বেঙ্গল টাইগার, এশিয়ান হাতি, গৌড় এবং চার শৃঙ্গযুক্ত হরিণের জন্য বিখ্যাত।
লাল সিল্কের তুলা গাছের (red silk cotton trees) প্রাচুর্যের জন্য এই জাতীয় উদ্যান টির নাম হয়েছে সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান।
সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান
অবস্থান: দক্ষিণ 24 পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ 24 পরগনা জেলায় গঙ্গা নদীর ব দ্বীপ এলাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানটি অবস্থিত।এই সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের একটি বড় অংশ ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ অবস্থান করছে। ভারতের বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে এটি পরিচিত। 1973 সালে এই সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান টি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ মূল কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
1977 সালে এটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
1984 সালে এটি জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতি লাভ করে।
1987 সালে UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষিত করে।
2019 সালে সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান রামসার সাইট হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।
ভারত ও বাংলাদেশ সমগ্র অংশ নিয়ে সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় 10 হাজার বর্গ কিলোমিটার, যার 60% বাংলাদেশ এবং বাকি 40% ভারতে রয়েছে।
PDF ফাইল ডাউনলোড করুন ➨ |
DOWNLOAD
|
Read More...